এবার ৮০ টাকা কেজিতে তরমুজ বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তরমুজ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে। পরে ক্রয় ভাউচার দেখে ৬৫ টাকা কেজিতে তরমুজের দাম নির্ধারণ করায় তরমুজ ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলে। গতকাল সোমবার(১৮ মার্চ) জেলার দুপুরে রূপগঞ্জ বাজারে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবু দাস এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, রমজানে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় বড় তরমুজের বাজার রূপগঞ্জের দোকানীরা ৮০ টাকা কেজি দাম লিখে তা বিক্রি করছেন দেখতে পান। পিস হিসেবে তরমুজ কিনে তা কেজিতে বেশি দামে বিক্রি করায় জরিমানা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিক্রেতার আড়ত থেকে কেনা ভাউচার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিকেজি তরমুজ ৬৫ টাকা করে বিক্রির নির্দেশ দেন।
অভিযান পরিচালনার সময় একাধিক ক্রেতা তরমুজের ইচ্ছামাফিক দামে বিক্রি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গৃহপরিচারিকা আছিয়া বলেন, গত হাটে ২ কেজির একটি তরমুজ কিনেছি ২শ’ টাকা দিয়ে। ছেলে কাঁদছিলও তাই বাধ্য হয়ে যে দাম চেয়েছে তাই দিয়ে কিনতে হয়েছে। ব্যবসায়ী তমিজউদ্দিন বলেন, এরা পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি করবে এটা মানা যায় না, আমরা রোজায় তরমুজ বয়কট করতে চাই, কিন্তু বাচ্চারা তো শোনে না। এত টাকা দিয়ে তরমুজ কেনা সম্ভব না।
এ সময় বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, আমরা তরমুজ পিস হিসেবে কিনছি এটা ঠিক, কিন্তু নষ্ট পচা হলে সেটা তো আড়ত ফেরত নেয় না, লোকসান আমাদের গুনতে হবে, তাই ৬৫ টাকায় তরমুজ বিক্রি করবো না। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবু দাস বলেন, ক্রেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। পিস হিসেবে দাম হাঁকালে তারা কিনতে পারবে না, তাই যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজার কমিটির সভায় তরমুজের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।